সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: মাধবদী বাস স্ট্যান্ডে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নরসিংদীর এনজিও কর্মীর হাতের কব্জি কেটে টাকা ছিনতাই মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ (সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ) । বৃহস্পতিবার ( ১৭ ডিসেম্বর) তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মামলার প্রধান আসামী মোঃ রুবেল মিয়া (২৬), আব্দুল বাদশা মিয়া (২২)। গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের অপর দুই সহযোগী মাহাবুবা আক্তার মেরিনা (২২) , মিঠি বেগম (২৬)’কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত হতে ছিনতাইয়ের নগদ ১ লাখ ৯১ হাজার ৫০০শ টাকা, ১টি গেঞ্জি, ১টি ক্যাপ ও ভিকটিমের মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ইং এনজিও কর্মী শান্তা আক্তার (৩১) নরসিংদী শহরের পশ্চিমকান্দা পাড়া এলাকা থেকে ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করে শহরের বাজিড় মোড়ের অফিসে ফেরার সময় গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রুবেল মিয়া ও আব্দুল বাদশা মিয়া পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন পশ্চিম কান্দাপাড়াস্থ সরকারী মহিলা কলেজের সামনে ওৎ পেতে থেকে ভিকটিম এনজিও কর্মীর রিক্সার গতিরোধ করে তার টাকা ভর্তি ভ্যানিটি ব্যাগ রুবেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন এনজিও কর্মী তার টাকার ব্যাগটি ধরে রাখতে চাইলে তার সহযোগী বাদশা তার হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে এনজিও কর্মীর বাম হাতের কব্জিতে স্বজোরে কোপ দিলে তার কব্জি কেটে গেলে তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ফেলে রেখে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করে কৌশলে পালিয়ে নরসিংদী সদর থানাধীন ব্রাক্ষণপাড়ায় রুবেলের শ্বশুর বাড়ীতে আত্মগোপন করে থাকে। তারা বাসায় এনজিও কর্মীর ভ্যানিটি ব্যাগটি আগুনে পুড়িয়ে ফেলে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাশের সিসি ক্যামেরায় ছিনতাইয়ের দৃশ্য ধারণ হয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হলে দেশব্যাপী চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনায় আশা এনজিও কর্মীর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ইসমাইল শিকদার বাদী হয়ে নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর থানায় একটি দস্যুতা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-২০, তারিখ ১৫/১২/২০২০, ধারা-৩৯৪ পেনাল কোড। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব কর্তৃক গোয়েন্দা নজরদারী ও গোপন অনুসন্ধানের মাধ্যমে র্যাব-১১ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ১৭ ডিসেম্বর মাধবদী থানাধীন ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে মাধবদী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। গ্রেফতারকৃত সকলেই পেশাদার ছিনতাইকারী এবং বিভিন্ন অসামাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত। তাদের মধ্যে রুবেলের নামে ৪টি, বাদশার নামে ৮টি এবং মিঠি বেগমের নামে ২টি মামলা চলমান রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হবে।